প্রকাশিত: ২০/০২/২০১৭ ১১:৪১ এএম

আইরিন আকতার :
র্দীঘ দিন পর নিজস্ব ভবন ও নতুন ক্লাস রুম পেয়ে খুশি কক্সবাজার সরকারি কলেজের ৩ টি বিভাগের ২ হাজার শিক্ষার্থী। এ কলেজে ৩ টি নতুন  বিষয়ে  অনার্স, মাস্টার্স, একাদশ শ্রেনীতে শিক্ষার্থীও আসন বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী বাড়ছিলোনা শ্রেনী কক্ষ। শিক্ষার্থীদের র্দীঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে কলা ভবনের পাশেই নির্মিত হয়েছে তিন তলা বিশিষ্ট নতুন একটি কলা ভবন। যেখানে ক্লাস করবে ইংরেজী, ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাসের ২ হাজার শিক্ষার্থী।
নতুন ভবন ও শ্রেনী কক্ষ পেয়ে বেজায় খুশি এ কলেজের শিক্ষার্থীরা। ইতিহাসের শিক্ষার্থী রাজিয়া আফরিন বলেন “এতদিন অন্য বিভাগের শ্রেনীকক্ষে ক্লাস করতে হয়েছে। এখন নিজেদের ভবন পেয়েছি। ভাবতেই খুব ভালো লাগছে। ”
ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মোহাম্মদ বলেন “জীর্ণশীর্ণ ভবনে এত দিন ক্লাস করেছি। লেকচারে মনযোগ বসতোনা। স্যাতস্যাতে লাগতো । এখন নিজেদের নতুন ভবনে ক্লাস করবো। যা সত্যিই আনন্দ দায়ক।”
ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ মাহমুদ বলেন “অন্যান্য বিভাগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যা তাদের সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটে । কিন্তু আমাদের নিজস্ব কোন ভবন না থাকায় আমরা তা করতে পারছিলাম না। এখন আমরাও আমাদের মত করে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলতে পারবো।”
শুধু শিক্ষার্থীরাই নয় খুশি শিক্ষকরাও । ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর হোসাইন আহমেদ আরিফ ইলাহী বলেন “ সঠিক পাঠদান আর শিক্ষার্থীদের মনোযোগের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিবেশ। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেকদিন কস্ট করে ছোট শ্রেনী কক্ষে ক্লাস করেছে।  এখন আমরা নতুন ভবনে নতুন উদ্যমে আমাদের র্কাযক্রম শুরু করবো। ”
ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মুহাম্মদ উল্লাহ বলেন “কলেজে এ তিনটি বিভাগ নতুন করে চালু হওয়ার পর থেকে আমরা ইতিহাস বিভাগ বিজ্ঞান ভবনে পাঠদান চালাতাম। আমাদের এগিয়ে যেতে এবং বিভিন্ন ধরনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে একটি ভবনের খুব বেশি প্রয়োজন ছিলো। অল্প দিনের মধ্যে আমাদের একটি নতুন ভবন উপহার দেয়ায় আমরা অধ্যক্ষের নিকট কৃতজ্ঞ।”
ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ আজিজুল মোস্তফা বুলু বলেন “ আমাদের শিক্ষার্থী বছরে বছরে বাড়ছে। এত ছোট ক্লাস রুমে এক বর্ষেও ক্লাস নিলে অন্য বর্ষের ক্লাস বন্ধ রাখতে হত। এখন নতুন ভবনে সমস্যার সম্মুখীন আমাদের আর হতে হবেনা । তাই আমরা শিক্ষক শিক্ষার্থীরা খুব খুশি।”
কলেজ অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী জানান ভবন নির্মান কাজ শেষ। এসে গেছে প্রয়োজনীয় আসবাবও। বাকি শুধু বৈদুত্যিক কাজ। কাজটি শেষ হলেই এ নতুন ভবনে এপ্রিল থেকেই ক্লাস করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
তিনি বলেন “ কলেজে তিন বিষয়ে অর্নাস র্কোস চালু করলেও ছিলোনা এ তিন বিভাগের জন্য শ্র্রেনীকক্ষ। বহু লেখালেখি আর চেস্টার পর আজ ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন শিক্ষর্থীরা এখানে বসে ক্লাস করতে পারলেই আমি শান্তি পাই।” তিনি জানান এ ভবন নির্মানের পরও শ্রেনীকক্ষ রয়ে যাবে ৪ হাজার শিক্ষার্থীও নতুন আরো ২ টি ভবন নির্মিত হলেই মিটবে সংকট। ইতোমধ্যে আরো একটি ভবনের জন্য চেস্টা চালানো হচ্ছে।

সুত্র :দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

যুক্তরাজ্যের প্রেস মিনিস্টার হলেন সাংবাদিক আকবর হোসেন

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন বিবিসি প্রতিনিধি আকবর হোসেন মজুমদার। রবিবার ...

আমাদের নিয়ত সহিহ, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলেই নির্বাচন: সিইসি

অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার ...

পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ...